ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
ঢাকাস্থ কানাডা হাইকমিশনের হাইকমিশনার অজিত শিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতে ইসলামী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকাস্থ কানাডা হাইকমিশনের হাইকমিশনার অজিত শিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ২টায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের ও পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক এডভাইজার নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন নায়েবে আমির  অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং জামায়াতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান। 

বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘কানাডিয়ান হাইকমিশনার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তাদের জানিয়েছি যে, আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের প্রায় উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার সংলাপে বসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দুইবারের বেশি না রাখা, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তাতে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আমরা হাইকমশনারকে জানিয়েছি যে, দুঃখজনকভাবে যদি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি। আমরা সরকারকে বলেছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা দরকার। আর কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের কনসার্ন অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছি।’

সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুসঙ্গিক খরচ মেটাতে মোটা অঙ্কের বাজেট দরকার। এ ব্যাপারে আমরা কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর নিকট আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছি। কানাডিয়ান হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উগ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

কানাডা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ করা হয়।