ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ন্যায় প্রতিষ্ঠায় লড়াই অব্যাহত থাকবে: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহানগরী কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রকৌশলীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দলীয়করণের ফলে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তিতে জাতি যখন নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছে তখন একটি দল সারাদেশে দুর্নীতি, লুটপাট, দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে পুরো জাতিকে আশাহত করছে। জনগণ বুঝতে পেরেছে ওই দলের নেতারা মিডিয়ার সামনে যা বলে বাস্তবে তার বিপরিতটাই করে। যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন-গুম, লুটপাট করে জনগণ তাদেরকে ভোটের মাধ্যমেই বয়কট করবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে যেভাবে ছাত্র-জনতার সঙ্গে সকল পেশাজীবী ভূমিকা রেখেছে একইভাবে আগামী নির্বাচনে দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন-গুম, লুটপাটকারীদের রুখে দিতে হবে। নতুবা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকৌশলীদের হাত ধরেই হয়ে থাকে। প্রকৌশলীরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্ত থাকলে দুর্নীতিরোধ করা সম্ভব। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে কোনো পেশাজীবী, কাউকে এক পয়সাও চাঁদা দিতে হবে না। ফলে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে ড. মাসুদ বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বহাল থাকবে। নতুন করে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিকল্প নেই।

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হচ্ছে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন করা। বর্তমান পদ্ধতির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট ভোটের মূল্যায়ন করতে গিয়ে লাখ লাখ ভোট মূল্যায়িত হয় না।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী ১ লাখ ভোট পেলে অপর প্রার্থী ১ লাখ ১ ভোট পেয়ে ১ ভোটের ব্যবধানে সেই প্রার্থী বিজয়ী হয়ে যায়। ফলে ১ লাখ ভোট নষ্ট হয়ে যায়। ঐ ১ লাখ ভোটারের মতামতের কোনো মূল্যায়ন হয় না। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রতিটি ভোট মূল্যায়িত হবে। কারণ পিআর পদ্ধতিতে সারাদেশের প্রাপ্ত সকল ভোটের গড় ভোট হিসাবে দল সংসদের আসন প্রাপ্ত হবে। তাই রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। অপরদিকে পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে কোনো সরকারই একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারবে না। ফলে সরকারি দল ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে তিনি পেশাজীবীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।