রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

শাপলা না দিলে রাজপথে আন্দোলন করবে এনসিপি: সারজিস

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যদি এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক না দেয়, তাহলে দলটি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে এবং একই সঙ্গে ওই কমিশন পুনর্গঠনেরও দাবি জানাবে।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ২টায় কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলে।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন আইন প্রণেতা, আইনজ্ঞ ও আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, শাপলাকে নির্বাচনি প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাধা নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না। তাদের যদি এটুকু স্বাধীনতা না থাকে, তাহলে নির্বাচনে তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারবো না। শাপলা প্রতীক পাবার জন্য যদি এনসিপিকে রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে একইসঙ্গে এনসিপি ওই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনেরও আন্দোলন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নিশ্চয়তা না থাকায় এনসিপি শুধু নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে নয়, মর্যাদা বজায় রেখে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’

সারজিস বলেন, ‘যেদিন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা তৈরি হবে, সেদিনই জনগণের পক্ষ থেকে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে।’

তিনি আরো দাবি করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রশ্ন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, মৌলিক সংস্কার ও বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিএনপি ও জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না; সেক্ষেত্রে এনসিপির অংশগ্রহণ ও সহায়তা আবশ্যক।’

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শুরু হয়- পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত ও জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব আহনাফ সাঈদ খান সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন জেলা সংগঠক ইকরাম হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দারসহ কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির, দিদার শাহ প্রমুখ।

সারজিস আলম বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য এনসিপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তারা দেশের প্রতিটি জেলায় সফর করছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি জেলায় কমিটি হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব উপজেলায়ও কমিটি হয়ে যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বড় দলগুলোর লোকজন বসে থাকার অভিযোগ তোলেন এবং বলেন, তারা সুবিধা নিতে বিভিন্ন দলের পরিচয় দিতে চান- ‘অমুক দলের ওসি, অমুক দলের এসপি’ ইত্যাদি পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে; এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তাদের আন্দোলনে গুলি করে যারা হত্যা করেছিল, তারা বিভিন্ন দলের সঙ্গে আঁতাত করে আদালত থেকে জামিন নিয়ে নিচ্ছে; হাইকোর্টেও দ্রুত জামিন হচ্ছে কারণ সেখানে এখনো ‘আওয়ামী লীগের দোসররা বিচারকের আসনে বসে আছেন’।

সারজিস আলম বলেন, ‘যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিল তাদের কোনো সংগঠনে নেওয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এনসিপি কেবল কয়েকটি আসনের জন্য কোনো জোটে যাবে না- কোনো দল যদি জুলাইয়ের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াই করার কমিটেড থাকলে তবেই তার সঙ্গে অ্যালায়েন্স করবে।’

সমন্বয় সভা উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

Link copied!