রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জাকির হোসাইন চৌধুরী, গ্রিস 

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

গ্রিসে পুলিশি হেফাজতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

জাকির হোসাইন চৌধুরী, গ্রিস 

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ ইউরোপের দেশ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের ওমোনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত মোঃ খালিস মিয়া নামের এক বাংলাদেশি যুবক পুলিশি হেফাজতে প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গেছে, দূতাবাসের কাছে পাঠানো পুলিশি ময়না তদন্তে ‘আত্মহত্যা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, যুবক নেশাগ্রস্ত ছিল এবং রাতে কোন এক সময় তার পরনের কাপড় গলায় জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দেওয়ান বলেন, পুলিশ তাদের জানিয়েছে, গত রোববার প্লাটিয়া ভাটিস এলাকায় (যেখানে অনেক বাংলাদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) মারামারির সংবাদে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশ সেখানকার অন্যান্য বাংলাদেশিদের মারামারি থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। তবে অন্যরা থামলেও খালিস মিয়াকে থামছিলেন না। যার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, থানায় ঢোকার পথে খালিস গাড়ির দরজায় লাথি মারে এবং পুলিশের গাড়ির কাঁচের আয়না ভেঙে ফেলে। নেশাগ্রস্ত থাকায় পুলিশ কোন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই খালিসকে সরাসরি হাজতে ঢুকিয়ে দেয়। পরদিন (সোমবার) সকালে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে এসে কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় হাজতের দরজা খুলে তাকে মৃত দেখতে পায়।

সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, নিজের কাপড় জড়িয়ে একজন লোকের আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া হাজতের ভিতরে ফাঁস লাগানোর মতো বা ফাঁসিতে ঝোলার জন্য কোন অবলম্বন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অথবা ভিন দেশের কয়েদিদের সাথে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মারামারির কারণে খালিস মারা গেছে।

জানা গেছে, খালিস মিয়ার অপমৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশি হেফাজতে অভিবাসীর মৃত্যুর ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া গ্রিক মানবাধিকার সংগঠন ‘কেরফা’ নেতা পেট্রোস কনস্টান্টিনোস সকল বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে আগামী ১২ অক্টবোর বিকাল তিনটায় থানা ঘেরাও কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ‘আইগিও পান্ডেলিমনা’ থানায় পুলিশি নির্যাতনে এক পাকিস্তানির মৃত্যু ঘটেছে।

আরবি/এফআই

Shera Lather
Link copied!