বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম

লিবিয়ায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, মূলহোতা গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম

খন্দকার রিফাত হোসেন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খন্দকার রিফাত হোসেন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অপহরণ, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে আসামিকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিফাত টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার খন্দকার রমজানের ছেলে। নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ২০২৪ সালের ৭ মার্চ লক্ষ্মীপুর আদালতে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে লিটন হোসেন ওরফে সুমন লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ৭২ হাজার দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা) সংগ্রহ করেন। বিষয়টি জানতে পারে রিফাত।

পরবর্তীতে লিবিয়া ও পাকিস্তানি মাফিয়াচক্রের সহায়তায় ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি লিটনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং ৭২ হাজার দিনার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ভিকটিমকে নির্যাতন করার ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তার পরিবারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে আরও ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং দফায় দফায় টাকা আদায় করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মামা মো. আনোয়ার হোসেন লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় লিবিয়ায় থাকা রিফাতের শাশুড়ি ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার আনু আক্তার, আত্মীয় দিদার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।

এরপর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে নোয়াখালী পিবিআই। মামলার বিষয়টি জানার পর অপহরণকারীরা ২ মাস ২০ দিন পর লিটনকে ছেড়ে দেয়।

পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার মূলহোতা রিফাত পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।’ পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!