শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম

বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুলকে দেশে ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম

আমিনুল ইসলাম আব্দুল নূর। ছবি- সংগৃহীত

আমিনুল ইসলাম আব্দুল নূর। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত বেস্টিনেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম আব্দুল নূর এবং তার সহযোগী রুহুল আমিনকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে মালয়েশিয়ার রয়্যাল পুলিশ সদর দপ্তর।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যম মালয় মেইল-কে জানান, বিষয়টি সরকার-টু-সরকার এবং পুলিশ-টু-পুলিশ উভয় স্তরে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে বিষয়টি আপাতত পুলিশ-টু-পুলিশ পর্যায়ে পরিচালিত হবে। এর বাইরে আপাতত কিছু বলতে চাই না।’

তবে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্য বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মালয় মেইল জানায়, বেস্টিনেট একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, যা মালয়েশিয়া সরকার অনুমোদিত বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ প্রক্রিয়া পরিচালনার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা সিস্টেম পরিচালনা করে। আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী মালয়েশিয়ান নাগরিক, আর রুহুল আমিন ঢাকাভিত্তিক নিয়োগ প্রতিষ্ঠান ক্যাথার্সিস ইন্টারন্যাশনাল-এর মালিক।

গত বছরের নভেম্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আমিনুল ও রুহুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। অভিযোগে বলা হয়, তারা অর্থপাচার, চাঁদাবাজি এবং বিদেশি শ্রমিক পাচারের সঙ্গে জড়িত।

এর আগে ২০২৪ সালের মে মাসে মালয়েশিয়া বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে। অভিযোগ ছিল, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আমিনুল ও রুহুলের নেতৃত্বাধীন ১০১টি নিয়োগ এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে গড়ে ৪,৫০০ থেকে ৬,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত আদায় করা হয়েছিল।

গত বছরের ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশ পুত্রজায়ায় চিঠি পাঠিয়ে দুজনের গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণ চায়। অর্থপাচার, মানবপাচার ও চাঁদাবাজির মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতেই এই অনুরোধ জানানো হয়।

Link copied!