শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

জোয়ারের পানিতে ভেসে গেল শতাধিক গরু!

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

জোয়ারের পানিতে ভেসে গেল শতাধিক গরু!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন খালে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে প্রায় শতাধিক গরু। এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই চরের কৃষকরা। এছাড়াও ভুক্তভোগীদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকাজুড়ে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে মেঘনা নদীর শাখা নদী, হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন খালে এই ঘটনা ঘটে ।

এ ঘটনায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকদেরা।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, কৃষক মহসিনের ৪টি, নাহিদের ৩টি, ইয়ানূরের ৩টি, এমার ২টি, মাসুমের ১টি, আবুল হোসেনের ৩টি, শাহজালালের ৩টি, কবির হোসেন খানের ৩টি, শরিফ শরিফ হোসেনের ৩টি, তরিকুল ইসলামের ২টিসহ শতাধিক গরু পানির তোড়ে ভেসে যায়।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল খান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের গ্রামবাসীর জন্য একটি দুঃখের দিন। আমরা অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কমবেশি সবারই গরু রয়েছে।

তিনি বলেন, ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন চরে খাস খাইয়ে গরুগুলো লালন-পালন করি সবাই। গ্রাম এবং চরের মধ্যে ছোট একটি খাল রয়েছে। খাল পাড়ি দিয়ে চরে গিয়ে ঘাস খেয়ে প্রতিদিন বিকেলে গরুগুলো আবার গোয়ালে ফিরে আসে। কিন্তু আজ বিকেলে খাল পাড় হবার সময় হঠাৎ জোয়ারের পানির তোড়ে এবং কচুরিপানার চাপে শতাধিক গরু ভেসে যায়। এর মধ্যে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ৪১টি মৃত গরু উদ্ধার করা হলেও এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬০টির মতো গরু নিখোঁজ।

ভুক্তভোগী কৃষক মহসিন বলেন, ‘এমন ঘটনা জীবনেও ঘটে নাই। এমন কিছু ঘটতে পারে তা আমরা চিন্তাও করি নাই। আমার ৪টি গরু পানির তোড়ে ভেসে গেছে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি, পথের ফকির হয়ে গেছি।’

এ বিষয়ে সম্পর্কে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মো. ফয়সাল আরাফাত বিন ছিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছি আমরা। আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সাহায্য করবো।’

Link copied!