ঢাকা সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫

গোসলের ফরজ কয়টি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
গোসলের ছবি: সংগৃহীত

পবিত্রতাকে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়েছে। পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম গোসল করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) অপবিত্র দূর করার জন্য গোসল করার তাগিদ দিয়েছেন। গোসলের তিনটি ফরজ ও ছয়টি সুন্নত রয়েছে। যথাযথভাবে এসব ফরজ পালন না করলে, ফরজ গোসল ঠিকমতো হয় না। এতে গোসলকারী অপবিত্র থেকে যায়।

গোসলের ফরজগুলো হলো-

গড়গড়াসহ কুলি করা

গোসলের প্রথম ফরজ হলো- গড়গড়াসহ কুলি করা। মুখের ভেতর অনেক সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে থাকে। গলার ভেতরেও কফ জমে থাকে। তাই গড়গড়াসহ কুলি করলে গলার কফ ও মুখের ভেতর জমে থাকা খাবারের উচ্ছিষ্ট দূর হয়ে যায়।

নাকে পানি দেওয়া

গোসলের আরেকটি ফরজ হলো- নাকের ভেতর পানি দেওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নাকে পানি দিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একাধিক হাদিস বর্ণিত রয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬) 

সারা শরীরে পানি দেওয়া

এমনভাবে গোসল করতে হবে, যাতে শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো না থাকে। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস রয়েছে।

গোসলের সুন্নত ছয়টি

১. গোসল শুরুর আগে ‘বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম’ পাঠ করা। 
২. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা।
৩. দুই হাতের কব্জি ওযুর মতো তিনবার পরিষ্কার করা।
৪. কাপড় অথবা শরীরের কোথাও অপবিত্র কোনো কিছু থাকলে— গোসলের আগে তা পরিষ্কার করা।
৫. গোসলের আগে অজু করা। গোসলের স্থান নিচু হলে ও পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে টাখনুসহ দুই পা পরে পরিষ্কার করা।
৬. ডান দিকে তিনবার, বাম দিকে তিনবার ও মাথার ওপর তিনবার পানি প্রবাহিত করা।

গোসলের পানি

গোসলের জন্য আগে পানি বাছাই করতে হবে। যেনতেন পানি ব্যবহার করা যাবে না। বৃষ্টির পানি, কুয়ার পানি, ঝর্ণার পানি, সাগর বা নদীর পানি, বরফ গলা পানি, বড় পুকুর বা ট্যাঙ্কির পানি প্রভৃতি ব্যবহার করা যাবে। তবে অপরিচ্ছন্ন বা অপবিত্র পানি, ফল বা গাছ নিঃসৃত পানি, পানির মধ্যে কোনো কিছু মিশানোর কারণে বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ এবং গাঢ়ত্ব পরিবর্তিত হওয়া পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না।

অপবিত্র জিনিস মিশে যাওয়া পানি (যেমন: মূত্র, রক্ত, মল বা মদ), অজু বা গোসলের পানি, অপবিত্র তথা হারাম প্রাণির(যেমন: শূকর, কুকুর ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণি) পানকৃত অবশিষ্ট পানি দিয়েও গোসল করা যাবে না।