মানুষ যে কোনো সময়ে যে কোনো পরিস্থিতিতে বিপদে পড়তে পারে। বিপদ বা সমস্যা কখনো বলে আসে না। তবে এ সময় কেউ কেউ ধৈর্য হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারো কারো স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পায়। কী করবে কিছু বুঝতে পারে না। তবে এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করুন। তিনি নিশ্চয়ই সমস্যা মুক্ত করে দেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার দোয়া-
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
উচ্চারণ : লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো (ভালো কর্মের দিকে) এগিয়ে যাওয়া এবং (খারাপ কর্ম থেকে) ফিরে আসার সামর্থ্য নেই।
আবু মুসা (রা.) বলেন, আমরা কোনো এক সফরে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন মানুষ উচ্চস্বরে তাকবির পাঠ করছিলেন।
রাসুল (সা.) বলেন, হে মানবজাতি, তোমরা জীবনের ওপর সদয় হও। কেননা তোমরা তো কোনো বধির অথবা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছ না। নিশ্চয়ই তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী সত্তাকে, যিনি তোমাদের সঙ্গেই আছেন।
আবু মুসা (রা.) বলেন, আমি তার পেছনে ছিলাম। তখন আমি বলছিলাম, আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কোনো ভালো কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং মন্দ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই।
তখন (সা.) বলেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস, আমি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে কোনো একটি গুপ্তধনের কথা জানিয়ে দেব?
আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল, অতঃপর তিনি বলেন, তুমি এই (উপরোক্ত) দোয়া পড়ো। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৫৫)
حسبُنا اللَّهُ ونعمَ الوَكيلُ على اللَّهِ توَكَّلنا
উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল, আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা।
অর্থ : মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধানকারী। আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম।
আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, কিয়ামতের বর্ণনা শুনে সাহাবারা ভীত হলে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তে বলেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৩১; তিরমিজি, হাদিস : ২৪৩১)
আপনার মতামত লিখুন :