কোরবানির মাংস একটি পবিত্র ও বরকতময় সম্পদ, যা ঈদুল আজহার আনন্দের অংশ। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ ঈদের সময় কোরবানি দিয়ে সেই মাংস দিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে চান।
প্রশ্ন হলো- শরিয়ত অনুযায়ী কোরবানির মাংস দিয়ে কি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা জায়েজ আছে?
আসুন বিষয়টি পরিষ্কার করি।
কোরবানির মাংস ব্যবহারের শরিয়ত নির্দেশনা
ইসলাম কোরবানির মাংস তিন ভাগে বণ্টনের সুপারিশ করেছে:
এক ভাগ নিজের জন্য
এক ভাগ আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের জন্য
এক ভাগ গরিব ও অভাবীদের জন্য
কিন্তু শরিয়ত কোরবানির মাংস ব্যবহারে কড়া কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। বরং বলা হয়েছে, গরিবদের হক আদায় করে দিলে বাকি অংশ নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
কুরআনে এসেছে, ‘তারা যেন তা নিজেরাও খায় এবং অভাবগ্রস্তদেরও খাওয়ায়।’ (সূরা হজ: ২৮)
কোরবানির মাংস দিয়ে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া জায়েজ
যেহেতু নিজের জন্য রাখা মাংস খাওয়া এবং অতিথিকে খাওয়ানো বৈধ, সেহেতু কোরবানির মাংস দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্না করে খাওয়ানো একেবারেই বৈধ ও শরিয়তসম্মত, যদি গরিবদের হক আদায় করা হয়ে থাকে।
কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
গরিবদের অংশ না দিয়ে সব মাংস দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা অনুচিত। এতে সদকার অংশ আদায় হবে না। বিয়েতে দম্ভ বা অপচয় না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোরবানির মাংস দিয়ে আয়োজন হলেও যেন তা বিনয়পূর্ণ হয়।
হ্যাঁ, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী কোরবানির মাংস দিয়ে বিয়ের আয়োজন বা ওয়ালিমা করা বৈধ, যতক্ষণ গরিবদের প্রাপ্য অংশ দেওয়া হয় এবং দাওয়াতে অপচয় বা অহংকারের কোনো স্থান না থাকে। বরং এটি বরকতময় একটি উদ্যোগ—যেখানে ইবাদত ও সামাজিক অনুষ্ঠান একসঙ্গে মিলিত হয়।