কবরের ফলকে কোরআনের আয়াত লেখা ইসলামে অনুমোদিত নয় বলে মত দিয়েছেন ফুকাহায়ে কেরাম (ইসলামী ফিকহবিদগণ)।
তাদের মতে, এতে পবিত্র কোরআনের অবমাননার আশঙ্কা থাকে। একইভাবে কবরে কালিমা বা দোআ-দরূদ লেখাও নিষিদ্ধ।
হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত জাবের (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কবর চুনকাম করা, কবরের উপর কিছু লেখা, তাতে স্থাপনা নির্মাণ এবং কবর মসৃণ করা থেকে নিষেধ করেছেন (তিরমিজি, হাদিস: ১০৫২)।
তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানানোর জন্য কবরের পাশে শুধু নাম ও ঠিকানা লেখা যেতে পারে। ইসলামী ফিকহের বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, নাম-ঠিকানা লেখা হাদিসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়।
কবর চেনার জন্য চিহ্ন বসানোও ইসলামে অনুমোদিত।
আবু দাউদে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, উসমান ইবন মাজউন (রা.)-এর ইন্তেকালের পর নবীজি (সা.) নিজ হাতে একটি পাথর এনে তার কবরের শিয়রে স্থাপন করেন এবং বলেন, আমার ভাইয়ের কবর চিহ্নিত করলাম, আমার পরিবারের কেউ মারা গেলে এই কবরের পাশে দাফন করব।