কোরবানির মাংস বণ্টন ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সামাজিক সহানুভূতি ও দরিদ্রদের সাহায্যের প্রতীক। অনেকেই জানতে চান, কোরবানির মাংসের কতটুকু অংশ নিজের জন্য রাখা যায়, যাতে শরিয়ত সম্মত হয়।
নিজের জন্য মাংস রাখার সীমা
ইসলামে কোরবানির মাংস নিজের জন্য পরিমিত পরিমাণে রাখা জায়েজ। কোনো নির্দিষ্ট অংশের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ না থাকলেও, মূল কথা হলো অতিরিক্ত লোভ বা অপচয় থেকে বিরত থাকা।
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির মাংস তিনভাগে ভাগ করা হয়-
নিজের জন্য একটি ভাগ
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য একটি ভাগ
দরিদ্র ও গরিবদের জন্য একটি ভাগ
এখানে নিজের অংশ সাধারণত মোট মাংসের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকা উচিত।
অপচয় থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব
কোরবানির মাংস যাতে অপচয় না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত নিজের জন্য রাখা বা মাংস সংরক্ষণে অযথা বিলম্ব না করা উত্তম। পরিমাণমতো খাওয়া ও বিতরণ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়।
দরিদ্র ও গরিবদের প্রতি দায়িত্ব
কোরবানির মাংসের বড় অংশ দরিদ্র ও গরিবদের জন্য রাখা আল্লাহর কাছে বিশেষ গ্রহণযোগ্য। তাই নিজের জন্য মাংস রাখার সময় তাদের ভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে মাংস বণ্টন
নিজেদের মধ্যেও মাংস ভাগ করে নেওয়া উচিত, যাতে সবাই অংশ পায়। এতে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায় এবং কোরবানির আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়।
কোরবানির মাংস নিজের জন্য পরিমিত পরিমাণে রাখা ইসলামি শরিয়তে অনুমোদিত। মূল কথা হলো লোভ ও অপচয় এড়িয়ে মাংসের সুষ্ঠু বণ্টন করা, যাতে দরিদ্রদেরও যথেষ্ট ভাগ পৌঁছে।
আপনার মতামত লিখুন :