নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি কেবল কিছু নিয়ম-কানুন পালনের নাম নয়; বরং নামাজ হলো আত্মার প্রশান্তি, চরিত্রের পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার শ্রেষ্ঠতম পন্থা।
আল্লাহ তাআলা বলেন-নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
এই আয়াতই প্রমাণ করে, নামাজ শুধু আধ্যাত্মিক নয়, নৈতিক উন্নতির অনুপম মাধ্যমও।
নবী করিম (সা.) নামাজকে আখিরাতে সাফল্যের চাবিকাঠি বলেছেন এবং মৃত্যুর আগমুহূর্তেও উম্মতকে নামাজের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের দিনকে সাজায় নিয়ম, ধৈর্য ও দায়িত্ববোধে। ফজরের নামাজ নতুন দিনের সূচনা, আসর নামাজ জীবনের ব্যস্ততার মাঝখানে এক প্রশান্ত বিরতি আর এশার নামাজ=দিন শেষে আত্মশুদ্ধির এক প্রশান্ত যাত্রা।
নামাজ মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়। নিয়মিত নামাজ আদায় করা ব্যক্তি সহজে অন্যায়-অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে না। নামাজ মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত রাখে, প্রতিটি রাকাতে সে আল্লাহর প্রশংসা করে, দয়া প্রার্থনা করে, ক্ষমা চায়। এভাবে নামাজ হয়ে ওঠে বান্দা ও রবের মাঝের সবচেয়ে গভীর বন্ধন।
নামাজে একাগ্রতা, স্থিরতা এবং আদব বজায় রাখলে নামাজের সৌন্দর্য ও মর্যাদা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তবে বাস্তবজীবনে অনেক সময় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যা সামান্য অঙ্গ চালনার অবকাশ সৃষ্টি করে। প্রশ্ন উঠতে পারে, নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় যদি হঠাৎ মশা কামড়ে দেয়-তখন কি তা মারা যাবে? মশা মারলে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, নামাজরত অবস্থায় মশা মারা যাবে। নামাজের মধ্যে মশা মারার মতো হালকা প্রয়োজনে অল্প নড়াচড়া করলে নামাজ নষ্ট হয় না। তবে যত দূর সম্ভব নামাজে স্থির থাকা ও একাগ্রতা রক্ষা করাই উত্তম। মনে রাখতে হবে, নামাজে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ চালনা নামাজের আদববিরুদ্ধ। তাই প্রয়োজনের ক্ষেত্রে মশা বা পোকা তাড়ানোর জন্য হালকাভাবে হাত নাড়া উচিত।