সাধারণত চেহারায় লোম হয় না, তবে কারও কারও ভ্রূ ও এর আশেপাশে এমন লোম হয় যা সচরাচর কারও হয় না। এমন লোম তুলে ফেলা জায়েজ। তবে ভ্রূ কোনোভাবে ছোট বা সরু করা যাবে না। হাদিসে রসুলুল্লাহ (স.) ভ্রূ উপড়ে ফেলা, দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা ইত্যাদি রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ ওই সব নারীকে লানত করেছেন, যারা উলকি অঙ্কন করে বা করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; এরা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি ঘটিয়েছে। (বুখারি ৪৮৮৬)
ভ্রূ ছাড়া নারীদের চেহারায় যে অবাঞ্ছিত লোম ওঠে, তা তুলে ফেলা এই হাদিসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ছাড়া নারীরা উরুর, পায়ের হাড় এবং বাহুর লোমও ফেলে দিতে পারবে।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী শরীরের লোম তিন ভাগে ভাগ করা যায়। কিছু লোম কাটা বা তুলে ফেলা নিষিদ্ধ, কিছু লোম নিয়মিত খাটো করা বা তুলে ফেলার নির্দেশ রয়েছে, কিছু লোমের ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ নেই অর্থাৎ চাইলে রাখা যায়, আবার তুলেও ফেলা যায়।
প্রথম প্রকারের লোম যেগুলো মুণ্ডানো বা তুলে ফেলা নিষিদ্ধ সেগুলো হলো পুরুষের দাড়ি, ভ্রূ এবং নারীদের চুল ও ভ্রূ। দ্বিতীয় প্রকারের পশম হলো, শ্রোণিদেশ ও বগলের পশম, পুরুষের গোঁফ ইত্যাদি। এগুলো নিয়মিত কাটতে হয় বা তুলে ফেলতে হয়।
এগুলো ছাড়া শরীরের অন্যান্য সব লোম তৃতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ এগুলো রাখা যায়, কেউ কাটলে, মুণ্ডন করলে বা উপড়ে ফেললেও গুনাহ নেই। নারীদের জন্য ভ্রূ ও চুল ছাড়া শরীরের অন্য যে কোনো জায়গার লোম উপড়ে ফেলা বৈধ। হাত, পা, বুক ও পিঠের লোম তুলে ফেলা পুরুষদের জন্যও বৈধ।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন