জনতার মেয়র হয়ে এবার কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক হোসেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবেন বলেও ঘোষণা দেন।
শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসাবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোন ভিত্তিক মনিটরিং টিম এর অনুমোদন দিব। বিকেলের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়)! একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। দক্ষিণ পরিচ্ছন্নকর্মীদের সঙ্গে আমি নিজেও থাকব।’
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র হয়েছিলেন শেখ ফজুলে নুর তাপস। এই নির্বাচনে মেয়র পদে তাপসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইশরাক হোসেনও।
তবে নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাপসকে বাতিল করে ইশরাকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত।
আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ ও ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
গত ১৪ মে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেটের বৈধতা এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে রিটটি খারিজ করেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়চৌধুরীর বেঞ্চ। এদিন সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭ পৃষ্ঠার এ আদেশ প্রকাশ করা হয়। ফলে শপথ পড়াতে বাধা নেই বলে জানান ইশরাকের আইনজীবীরা
অন্যদিকে রিটকারী আইনজীবী কাজী আকবর আলী বলেছেন, আপিলের রায় না দেওয়া পর্যন্ত শপথ পড়ানো যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :