প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি শেষ বাঁশির পরও মাঠের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। ফয়সাল হোসেন ফাহিমের জোড়া গোলে বসুন্ধরা কিংস ২-০ ব্যবধানে আবাহনীকে পরাজিত করে মোহামেডানের লিগ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আরও জোরালো করেছে।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে রেফারি ভুবন মোহন তরফদার একসঙ্গে আবাহনীর শাহীন আহমেদ এবং বসুন্ধরার সাদ উদ্দিন ও সিনিয়র সোহেল রানাকে লাল কার্ড দেখালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তবে মাঠের খেলোয়াড়রা শান্ত থাকলেও আবাহনী দল ড্রেসিং রুমের দিকে যাওয়ার সময় বসুন্ধরার ডাগ আউটের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, ভিআইপি গ্যালারি থেকে দর্শকদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয় এবং পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাঁশি বাজাতে হয়।
আবাহনীর অভিযোগ, মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় বসুন্ধরা কিংসের লোকজন তাদের ওপর আক্রমণ করে। অন্যদিকে, বসুন্ধরার ডাগ আউটের দুই তরুণকে আবাহনীর খেলোয়াড়দের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়।
এদের মধ্যে একজন তামিম, যিনি দাবি করেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা তাদের কোচ ওয়াসিম স্যারকে গালি দেওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। তবে মাঠে তার ভূমিকা এবং ডাগ আউটে প্রবেশের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি দ্রুত সরে যান।
ম্যাচ কমিশনার সুজিত কুমার ব্যানার্জী আবাহনীর খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। এই সময় বসুন্ধরার খেলোয়াড় সাদ উদ্দিন ম্যাচ কমিশনারের গায়ে হাত তোলেন।
পরে বসুন্ধরার ম্যানেজার ওয়াসিমউজ্জামান সাদকে নিয়ে এসে ম্যাচ কমিশনারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
এদিকে, দিনের অন্য ম্যাচে কুমিল্লায় মোহামেডান ২-১ গোলে পুলিশ এফসিকে হারিয়েছে। এই জয়ের ফলে এবং সন্ধ্যায় আবাহনীর পরাজয়ে মোহামেডানের লিগ শিরোপা জয়ের পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে। মোহামেডানের হাতে এখনো পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে এবং আর দুটি ম্যাচ জিতলেই তারা শিরোপা নিশ্চিত করতে পারবে।
অন্যদিকে, রেলিগেশনের শঙ্কায় থাকা ঢাকা ওয়ান্ডারার্স গাজীপুরে ফর্টিস এফসিকে ১-০ গোলে পরাজিত করে মূল্যবান তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে। আবু সুফিয়ান ইউসুফ সিফাত অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে অপ্রত্যাশিত জয় এনে দেন।
এদিন ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পুলিশ এফসির খেলোয়াড়রা মাঠে পতাকা হাতে নামেন।
আপনার মতামত লিখুন :