নাম তার বিলাল সামি। আফগানিস্তানের ফাস্ট বোলার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছেন সামি। তার বোলিং এর কাছেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আফগানিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হয় সামির। হারারেতে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। এরপর সাদা বলের ক্রিকেটে তার দেখা মিললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা মিলেনি।
তবে হার মেনে নেননি এই ক্রিকেটার। সম্প্রতি শেষ হওয়া গাজী আমানুল্লাহ খান রিজিওনাল ওয়ানডে টুর্নামেন্টে সামি খেলেছেন স্পিনঘার অঞ্চলের হয়ে। আফগানিস্তানের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টে ২২ দশমিক ৯০ গড় ও ৪ দশমিক ৯৭ ইকোনমি রেটে পেয়েছেন ১০ উইকেট।
যদিও সামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলে সুযোগ পেয়েছেন হুট করেই। আফগান পেসার মোহাম্মদ সালিম ইনজুরির কবলে পড়লে সামিকে দলে ভেরায় আফগানিস্তান। আর এই সুযোগটাই লুফে নেন সামি। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে ৭.১ ওভারে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন সামি।
১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করে সামির শুরু। আফগান এই পেসার এরপর নিয়েছেন মিরাজ, তানভীর ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও হাসান মাহমুদের উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ইনিংসে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়ে ম্যাচসেরাও হন সামি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফগান পেসার বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম করেছি। দল পাশে ছিল। দলে অনেক বিকল্প ক্রিকেটার আছে। কাজটা তাই সহজ ছিল না। নিজের সেরাটা দিতে পেরে ভালো লাগছে।’
সামি সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই মূলত নিয়মিত খেলছেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২৭ ও ২৬ ম্যাচ খেলেছেন। ৪৯ ও ৩৩ উইকেট পেয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ও টি-টোয়েন্টিতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আফগান এই পেসার ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২৫ উইকেট।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন