মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

স্ত্রী আমান্ডার দাবি

ইসিবির অবহেলায় আত্মহত্যা করেন গ্রাহাম থর্প

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটার গ্রাহাম থর্প। ছবি- সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটার গ্রাহাম থর্প। ছবি- সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটার ও ব্যাটিং কোচ গ্রাহাম থর্প আত্মহত্যা না করে আজও বেঁচে থাকতেন—যদি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার প্রয়োজনীয় সহায়তা দিত। এমনটিই দাবি করেছেন তার স্ত্রী আমান্ডা থর্প।

টকস্পোর্টের পডকাস্ট হেড বিফোর উইকেট-এ দেওয়া এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে আমান্ডা বলেন, ২০২১-২২ অ্যাশেজ সিরিজের পর আচমকা ক্রিকেটের বাইরে ছিটকে পড়া থর্প মানসিকভাবে মারাত্মক ভেঙে পড়েছিলেন। সেই কঠিন সময়টিতে ইসিবির নূন্যতম সহায়তাও তার স্বামীর জীবন বাঁচাতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অ্যাশেজে ৪-০ ব্যবধানে লজ্জাজনক হারের পর দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে থর্পকে চাকরিচ্যুত করেছিল ইসিবি। ট্যুরটি কঠোর কোভিড বিধিনিষেধে বিপর্যস্ত ছিল। শেষ টেস্টের পর হোটেলে সিগার জ্বালানোর ঘটনায় পুলিশ পর্যন্ত ডাকা হয়—যা থর্পকে ভয়াবহভাবে ভেঙে দেয় বলে জানান আমান্ডা।

তিনি বলেন, সে ট্যুরেই মানসিকভাবে দোল খাচ্ছিল। ঘটনাটা তাকে সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। দেশে ফেরার ফ্লাইটে সে প্রত্যেক সদস্যের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে।

পরিবার জানায়—থর্প আত্মহত্যা করেন

২০২৪ সালের আগস্টে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান ৫৪ বছর বয়সী থর্প। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি গভীর বিষণ্নতা ও উদ্বিগ্নতায় ভুগছিলেন এবং আত্মহত্যা করেছেন।

গ্রাহাম থর্পের স্ত্রী ও মেয়ে।

২০২২ সালেই থর্প আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময়ও চিকিৎসার ঘাটতি ছিল বলে জানান আমান্ডা। তখনই খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল। সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, স্ট্রোকও হয়েছিল। এরপর তার মানসিক ও শারীরিক অবস্থা আরও নাজুক হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ইসিবি থর্পকে দশটি অনলাইন কাউন্সেলিং সেশন দিয়েছিল—যা আমান্ডার মতে ছিল ‘চরমভাবে অপ্রতুল’। প্রতিটি সেশন শেষে সে আরও ভেঙে পড়ত। আমরা বারবার অতিরিক্ত সহায়তা চেয়েছি। কিন্তু কোনো শক্তিশালী সহায়তা পাওয়া যায়নি।

এদিকে, থর্পের মৃত্যুর তদন্তে করোনার রিপোর্টে চিকিৎসা ব্যবস্থার ‘ঘাটতি’ উল্লেখ করা হলেও ইসিবির চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনো দোষ খুঁজে পায়নি। বোর্ড জানায় যে তারা চিকিৎসা ব্যয়, হাসপাতাল খরচ এবং স্বাস্থ্যবিমার মেয়াদ বাড়িয়েছিল।

সেসমসয় ইসিবির এক মুখপাত্র বলেন, গ্রাহাম থর্প ছিলেন সবার অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় মানুষ। তার মৃত্যু ক্রিকেট দুনিয়ায় গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। আমরা তার স্ত্রী আমান্ডা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনায় আছি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!