সুযোগটা ছিল একেবারে হাতের মুঠোয়, ইনিংসটা গড়েওছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না সাদমান ইসলামের। ১২৬ বলের ধৈর্য্যময় ইনিংসে ৭৮ রান করে আউট হলেন সবচেয়ে হতাশার মুহূর্তে।
বাংলাদেশের ইনিংসে সেই সময় জমে উঠছিল জুটি, সাদমান ছিলেন সেট। সঙ্গে অধিনায়ক শান্ত, তবু হঠাৎ করেই থেমে গেল তার ছন্দের ব্যাট।
শ্রীলঙ্কার বোলার মিলান রাতনায়েকের আগের ওভারে বল হচ্ছিল সব বাইরে, অফ স্টাম্পের বাইরে রেখেই চেষ্টা করছিলেন ফাঁদ পাতার। সেই ফাঁদেই যেন শেষ পর্যন্ত ধরা দিলেন সাদমান।
৪৪.১ ওভারে হঠাৎই বলটি ভেতরে ঢুকিয়ে আনলেন রাতনায়েকে। লো হাইটের বলটি মাটির কাছাকাছি রেখেই ঢুকে পড়ল ব্যাট-প্যাডের মাঝখানে। প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগেই সোজা গিয়ে লাগল প্যাডে। আম্পায়ারের আঙুল উঠে যেতেই সাদমান আর দেরি করেননি, রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি।
তার ১২৬ বলে গড়া ৭৮ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার, আর উইকেটে কাটানো প্রায় তিন ঘণ্টার ধৈর্য্য। ৬৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছিলেন সতীর্থের সঙ্গে, যা বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত গড়ার পথ তৈরি করছিল।
এই ইনিংসটাও হয়তো তার অভিষেক টেস্টের সেই ৭৬ রানের মতোই আলোচনা হয়ে থাকবে- ‘ভালো খেলেছিল, কিন্তু পারেনি শেষ করতে’।
আপনার মতামত লিখুন :