মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) কার্যালয় থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২৬১টি জার্সি চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এ ঘটনায় বিসিসিআইয়ের এক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক ফারুক আসলাম খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুরি যাওয়া জার্সিগুলোর মোট বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ৬.৫২ লাখ রুপি) বলে জানা গেছে।
চলতি জুলাই মাসের শুরুতে বিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ অডিটে আইপিএল ২০২৫-এর বিপুলসংখ্যক জার্সি নিখোঁজ দেখতে পাওয়া যায়।
এরপর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে গত ১৩ জুন ফারুককে একটি বড় কার্টন নিয়ে স্টোররুম থেকে বের হতে দেখা যায়।
এতে কর্মকর্তাদের সন্দেহ নিশ্চিত হয় এবং গত ১৭ জুলাই মেরিন ড্রাইভ থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ফারুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে হরিয়ানাভিত্তিক এক অনলাইন বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি ওই বিক্রেতাকে জানান, বিসিসিআই অফিসে সংস্কারকাজ চলায় স্টক ক্লিয়ারেন্স সেলের অংশ হিসেবে জার্সিগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতা দাবি করেছেন, তিনি জানতেন না যে জার্সিগুলো চুরি করা।
জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক স্বীকার করেন, জার্সি বিক্রির পুরো টাকাটাই তিনি অনলাইন জুয়ায় হেরে বসেছেন। তার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ২৬১টি জার্সির মধ্যে মাত্র ৫০টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকৃত জার্সিগুলো বিভিন্ন আইপিএল দলের হলেও, এগুলো খেলোয়াড়দের ব্যবহারের জন্য ছিল নাকি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মার্চেন্ডাইজের অংশ ছিল, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
হরিয়ানাভিত্তিক ওই অনলাইন বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
ফারুকের বিরুদ্ধে চুরির পাশাপাশি বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।
বিসিসিআই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি না দিলেও, জানা গেছে যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থায় কড়াকড়ি আনার চিন্তাভাবনা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :