শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে টাইগাররা। এই দারুণ জয়ে লিটন দাসের দলের পয়েন্ট এখন ২, আর নেট রান রেট +০.১২১।
ফাইনালে খেলার জন্য বাংলাদেশ দলের সামনে এখন কয়েকটি সহজ এবং কিছু জটিল সমীকরণ দাঁড়িয়ে আছে। তবে সবচেয়ে সহজ পথ হলো, বাকি দুটি ম্যাচের মধ্যে কমপক্ষে একটিতে জয়লাভ করা।
সহজ সমীকরণ : একটি জয়ই যথেষ্ট
যদি বাংলাদেশ তাদের বাকি দুই ম্যাচের (ভারত এবং পাকিস্তান) মধ্যে অন্তত একটিতে জয় পায়, তাহলে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দলের পয়েন্ট হবে ৪, যা অন্য দলগুলোর জন্য টপকানো কঠিন হতে পারে।
বিশেষ করে যদি ভারত বা পাকিস্তানের মধ্যে কোনো একটি দল তাদের সব ম্যাচ না জেতে, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ সুবিধাজনক থাকবে।
যদি দুই ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ?
বাকি দুই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেলেও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে সমীকরণটি বেশ জটিল। এই পরিস্থিতিতে অন্য দলগুলোর পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে।
১. পাকিস্তান অথবা ভারতকে তাদের সবকটি ম্যাচে জিততে হবে।
২. যে দলটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হেরে যাবে, তাদের শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হবে।
৩. সেই দলটিকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব অল্প ব্যবধানে জিততে হবে।
এই পরিস্থিতিতে একটি দলের পয়েন্ট হবে ৬ এবং বাকি তিনটি দলের পয়েন্ট হবে ২। তখন নেট রান রেটের ভিত্তিতে ফাইনালের টিকিট নির্ধারণ হবে।
তবে বাংলাদেশ দল নিশ্চয়ই এত জটিল হিসাবের মধ্যে পড়তে চাইবে না। ভারত ও পাকিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের হাতেই ফাইনালের ভাগ্য রাখতে চাইবে তারা।
সম্প্রতি এই দুটি দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড বেশ ভালো। এশিয়া কাপে সবশেষ দেখায় ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ (যদিও সেটি ওয়ানডে ফরম্যাটে), আর পাকিস্তানকে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে টাইগাররা।
যদি সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে সাত বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন