ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের ঝড়ো সেঞ্চুরিও রুখতে পারল না কিউইদের। রবিবার মাউন্ট মাউনগানুইয়ের বে ওভালে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের ইনিংসটিতে একাই লড়েছেন ব্রুক। ১০১ বলে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কা। কিন্তু তার এই একক প্রচেষ্টা দলকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারেনি। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ২২৩ রানে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে পেসার জ্যাকারি ফকস ছিলেন ধ্বংসযজ্ঞের নায়ক। মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা এই তরুণ পেসার ৪১ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন। তার তোপে ইংল্যান্ডের শুরুর চার ব্যাটার ১০ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
পরে ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারানো অবস্থায় ব্রুক ও জেমি ওভারটন (৪৬) সপ্তম উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন।
ব্রুক শেষ পর্যন্ত জ্যাকব ডাফির এক ওভারে তিনটি টানা ছক্কায় শতক স্পর্শ করেন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস (১৩৫), যা আগের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করা ১১০* রানের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, শুরুটা খারাপ ছিল, তাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ছাড়া বিকল্প ছিল না। চেষ্টা করেছি দলকে লড়াইয়ের মতো স্কোরে পৌঁছে দিতে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বল হাতে কিছুটা আশার আলো জ্বালান ব্রাইডন কার্স। তার দুর্দান্ত স্পেলে (৩/৪৫) নিউজিল্যান্ডও শুরুতে বিপাকে পড়ে। কার্সের বলেই প্রথম ওভারেই ফিরে যান উইল ইয়াং ও কেন উইলিয়ামসন।
তবে অভিজ্ঞ ড্যারিল মিচেল ছিলেন কিউইদের জয়রথের চালক। ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। সঙ্গী হিসেবে পান মাইকেল ব্রেসওয়েলকে, যিনি ৫১ রান করেন। টম ল্যাথামও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।



