ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশুলিয়া অঞ্চলের পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে ‘অ্যালায়েন্স অব ইউনিভার্সিটিজ ইন আশুলিয়া’ নামের একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটের মূল লক্ষ্য আশুলিয়াকে একটি আধুনিক ‘হায়ার এডুকেশন সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলা।
এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী, ভাইস চ্যান্সেলর, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি; প্রফেসর ড. এম. আর. কবির, ভাইস চ্যান্সেলর, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. লুৎফর রহমান, ভাইস চ্যান্সেলর, সিটি ইউনিভার্সিটি; প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, ভাইস চ্যান্সেলর, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং এমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান, ভাইস চ্যান্সেলর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারবৃন্দ সাক্ষী হিসেবে স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ড. মো. সাবুর খান, চেয়ারম্যান, অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশ (APUB) একটি ভিডিও বার্তা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (BAC); ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং প্রফেসর ড. আবুল হাসান এম. সাদেক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, ডিন ও শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে যৌথভাবে সেমিনার, কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাদকমুক্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে এবং পরিবহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব সম্পর্কিত স্থানীয় সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়। ভাইস চ্যান্সেলররা প্রতিবছর একটি বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন, যেখানে জোটের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
শিক্ষাবিদদের মতে, এই ঐতিহাসিক উদ্যোগটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি পারস্পরিক উন্নয়ন, একাডেমিক সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং আশুলিয়াকে একটি সমন্বিত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

