ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্যর সঙ্গে সে রাতে যা ঘটেছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের একটি বিবরণ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি হেডকোয়ার্টারস জানায়, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে সাম্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন।

রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাত ১০/১২ জন দুষ্কৃতকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যর মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

এই বিষয় নিয়ে সাম্যদের সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তর্ক-বির্তকের একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা সাম্য ও তার বন্ধুদের ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে।

একপর্যায়ে একজন দুষ্কৃতকারী সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের উরুর পেছন দিকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

এতে সাম্য রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।

এ সময় দুষ্কৃতকারীরা সাম্য ও তার বন্ধুদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

পরবর্তীতে বন্ধুরা উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় সাম্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য হত্যায় ঢাবির তদন্ত কমিটি

বিস্তারিত পড়ুন

বুধবার (১৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওই ঘটনায় সাম্যের বড় ভাই এসএমএ শরিফুল আলমের অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা হয়।

যার প্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্তে তৎপরতা চালায় পুলিশ। এজন্য ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের সনাক্ত করা হয়েছে।

এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিতে ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিএমপি জানায়, অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এরা হলেন- তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সরদার (৩০)।

বুধবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি জানায়, বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।