মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (১৪ মে) ভোরে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। এ সময় বিজিবি তাদের আটক করেছে।
আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাল্লাথানা সীমান্ত দিয়ে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাংলাদেশে নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন মহিলা ও ১৩ জন শিশু রয়েছে।
আটকরা জানিয়েছেন, তারা কাজের জন্য অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে।
তারা জানান, সীমান্তের ওপারে আরও মানুষকে আটক করে রেখেছে বিএসএফ। তাদেরও অবৈধভাবে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন তারা।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ভোরে আরও ৪৪ জনকে বিএসএফ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করেছে। আটকরা বাংলাদেশি নাগরিক।’
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান পিপিএম জানান, আটকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা সবাই বাংলাদেশি। তাদের থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বিজিবি আটকদের থানায় হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে বিএসএফ ঠেলে পাঠালেও বিজিবি ৫৯ জনকে আটক করে। বিজিবি তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বড়লেখা থানা পুলিশ তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
এরপর পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।
আপনার মতামত লিখুন :