ময়মনসিংহের ভালুকায় স্পিনিং মিলের টয়লেট খেকে রবিউল ইসলাম (৩৭) নামে এক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে, রবিউল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভালুকা উপজেলার জমিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার আরিফ স্পিনিং মিলের টয়লেট থেকে রবিউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রবিউল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার মেগশিমুল গ্রামের মৃত রইজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি আরিফ স্পিনিং মিলের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন।
আরিফ স্পিনিং মিলের ডেপুটি ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় ধরে রবিউলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে এক শ্রমিক এসে বলেন, দীর্ঘসময় একটা টয়লেটের দরজা বন্ধ। এমন খবর পেয়ে আমরা সবাই মিলে দরজা ভেঙে ভেতরে দেখি অজ্ঞান অবস্থায় রবিউল পড়ে আছে। পরে দ্রুত ভালুকা উপজেলা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রবিউলের স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে টয়লেটে ফেলে রেখেছে। তার গলায় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যার চিহ্ন রয়েছে। আমি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন