ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

টটেনহামের জার্সিতে সোনালি স্বপ্ন পূরণ সনের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
টটেনহামকে শিরোপা জিতিয়ে সন হিউং-মিন। ছবি- সংগৃহীত

অবশেষে অধরা স্বপ্ন ধরা দিল। দীর্ঘ এক দশক টটেনহাম হটস্পারে খেলার পর গত রাতে ক্লাবটির হয়ে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন।

সান মিমিসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ইউরোপা লিগ জিতে নিয়েছে টটেনহাম, আর এই জয়ের মধ্য দিয়েই প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে মেজর কোনো শিরোপার দেখা পেলেন সন।

ম্যাচের ৪২ মিনিটে ব্রেনান জনসনের জয়সূচক গোলের পর শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সান মিমিসে শুরু হয় টটেনহামের বাঁধভাঙা উদযাপন। এই উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দলের অধিনায়ক সন।

প্রথম শিরোপা জয়ের পর ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তিনি বলেন, ‘অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। আজ বলতে পারি যে আমি এই ক্লাবের কিংবদন্তি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে।’

প্রথম শিরোপা জয়ের পর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে মাঠে ঘুরেছেন সন। টটেনহাম হটস্পার তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম অধিনায়ক হয়ে মেজর ইউরোপিয়ান ট্রফি জিতেছেন তিনি।’ এই ছবি এবং সনের মন্তব্য কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ট্রফি ধরার সময় যখন তাইগিউকগি (দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা) নিয়ে ঘুরতে দেখবেন, তখন ভালোই লাগবে।’ অপরজন লিখেছেন, ‘এটা অবশ্যই দলীয় প্রচেষ্টা। তবে এমন অর্জনের পর তাঁকে (সন) নিয়ে আমি গর্বিত। এটার জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন।’

২০২৪-২৫ মৌসুমের শুরুতে সন বলেছিলেন, তিনি টটেনহামের কিংবদন্তি হতে চান। সান মিমিসে গত রাতের জয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

শিরোপা জয়ের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আশা করি, যারা আমাকে পছন্দ করে না তারাও এখন থেকে পছন্দ করবে। সেটা সম্ভব হয়েছে এই শিরোপার জন্যই।’

টটেনহামের ৪১ বছরের শিরোপা খরা অবসান

এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগ জিতল টটেনহাম। এর আগে ১৯৭২ ও ১৯৮৪ সালে এই শিরোপা জিতেছিল ক্লাবটি। দীর্ঘ ৪১ বছর পর ক্লাবটির এই শিরোপা জয় সনের প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারেও নিয়ে এসেছে প্রথম বড় সাফল্য।

এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এএফসি এশিয়ান কাপের ফাইনালে উঠলেও সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি সন।