হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জুরিখে গতকাল রাতে শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্পেনকে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তুললেন বোনমাতি।
এই ঐতিহাসিক জয়ের নায়িকা আইতানা বোনমাতি। যিনি অতিরিক্ত সময়ে গোল করে স্পেনকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন।
মেনিনজাইটিস জয় করে মাঠে ফেরা
স্পেনের এই মিডফিল্ডার মেনিনজাইটিসে ভুগে মেয়েদের ইউরোতে তার খেলা নিয়েই সংশয় ছিল। ইউরো শুরুর কয়েক দিন আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।
প্রতিযোগিতার প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চ থেকে নেমেছিলেন, কিন্তু জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে তার গোলেই রচিত হলো ইতিহাস।
ম্যাচের ১১৩ মিনিটে অ্যাথেনা দেল কাস্তিয়োর পাস থেকে দর্শনীয় গোলটি করেন দুবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী এই তারকা।
বোনমাতির উচ্ছ্বাস ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত
গোল করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বোনমাতি বলেন, বল জালে জড়ানোর পর আমি দৌড়াতে শুরু করি। বেঞ্চের সবাই উঠে দাঁড়িয়েছিল, তাদের সঙ্গে উদ্যাপন করি।
এমন একটি ম্যাচে গোল করা বিশেষ কিছু। আমি দলকে ইতিহাস গড়তে সাহায্য করেছি।
আগামী রোববার বাসেল শহরের সেন্ট জ্যাকব পার্ক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্পেন। ২০২৩ সালের মেয়েদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ ফাইনালেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ওলগা কারমোনার গোলে স্পেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ফাইনালে ওঠার পথে জার্মানির বিপক্ষে স্পেনের মেয়েদের দীর্ঘদিনের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙতে হয়েছে। গত রাতের আগে জার্মানির বিপক্ষে ৮ বারের মুখোমুখিতে স্পেন একবারও জিততে পারেনি।
এর মধ্যে সর্বশেষ ৪ ম্যাচে তারা গোলও করতে পারেনি। এই ইতিহাস বদলানোর আনন্দে বোনমাতি বলেন, "মনে হচ্ছে আজ (গত রাতে) আবারও আমরা ইতিহাস লিখলাম।
এই প্রথমবারের মতো আমরা মেয়েদের ইউরোয় ফাইনালে উঠলাম এবং সেটা জার্মানিকে হারিয়ে, যাদের আমরা এর আগে হারাতে পারিনি।
অপর সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইউরোর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
এখন অপেক্ষা, এবারের ইউরো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কার মাথায় ওঠে।
আপনার মতামত লিখুন :