বৃহস্পতিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো ব্যালন ডি’অর ২০২৫-এর ৩০ জন মনোনীত ফুটবলারের তালিকা। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্যারিসের থিয়েটার ডু শাতেলের মঞ্চে বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে, নজর থাকছে শীর্ষ ফেভারিটদের দিকে।
আশরাফ হাকিমি
পুরো মৌসুমে নিজের পজিশনে নিঃসন্দেহে সেরা ছিলেন হাকিমি। আগের মতোই আক্রমণাত্মক খেলার পাশাপাশি রক্ষণভাগেও দারুণ উন্নতি করেছেন তিনি।
জাতীয় ও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় পিএসজির আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বড় অবদান রেখেছেন এই মরোক্কান তারকা।
লামিন ইয়ামাল
ন্যাশনস লিগের আগে ইয়ামাল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ব্যালন ডি’অরের লড়াই মূলত তার এবং উসমান দেম্বেলের মধ্যে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমও ‘ব্যালন ডি’অর’ স্লোগানকে ঘিরে প্রচারণা শুরু করে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বড় প্রতিযোগী হিসেবে উঠে এসেছেন। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে বার্সেলোনার বিদায় এবং ন্যাশনস লিগের ফাইনালে হারের কারণে এবার তিনি আউটসাইডার হিসেবেই থাকছেন।
ভিটিনিয়া
গত দুই বছরে ক্রমাগত উন্নতির পথেই আছেন ভিটিনিয়া। মৌসুমের সেরা দলের প্রকৃত মধ্যমণি হিসেবে বিশ্বমানের ফুটবলারের মর্যাদা পেয়েছেন তিনি।
ন্যাশনস লিগে পর্তুগালের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে নিজের ব্যালন ডি’অরের সম্ভাবনা আরও শক্ত করেছেন।
রাফিনিয়া
কয়েক মাস আগেও চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির শিরোপা জয়ের আগ পর্যন্ত রাফিনিয়াকেই ব্যালন ডি’অরের প্রধান দাবিদার হিসেবে ধরা হচ্ছিল। ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটিয়ে এখন বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন তিনি।
যদিও শিরোপা না জিতলেও ২০২৫ ব্যালন ডি’অরে তার পডিয়ামে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
উসমান দেম্বেলে
এবারের ৬৯তম ব্যালন ডি’অরের সবচেয়ে বড় ফেভারিট হলেন উসমান দেম্বেলে। ইউরোপের সেরা দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মাধ্যমে তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।
তবে একমাত্র ধাক্কা এসেছে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির কাছে ০-৩ ব্যবধানে হারের মধ্য দিয়ে। ভোটাররা এই ব্যর্থতাকে কতটা গুরুত্ব দেবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।