ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে আক্রমণাত্মক ফুটবলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। রিয়াল সোসিয়েদাদকে ২-১ গোলে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে সরিয়ে লা লিগার শীর্ষস্থান দখল করল কাতালান ক্লাবটি।
রোববার রাতে লা লিগার এই ম্যাচে বার্সেলোনা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, বল দখলে বার্সারই ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় ৮৫ শতাংশের বেশি সময় বল ছিল তাদের দখলে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনার আক্রমণে সোসিয়েদাদের রক্ষণ ও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় পরাস্ত হচ্ছিল। এমন একচেটিয়া আধিপত্যের মাঝেই ৩১তম মিনিটে অপ্রত্যাশিত গোলে বার্সেলোনাকে হতভম্ব করে দেয় সফরকারীরা।
আন্দের বারেনেচেয়ার পাস থেকে স্লাইড শটে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলভারো ওদ্রিওসোলা।
তবে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি শিরোপাধারীরা। ৪৩তম মিনিটে তারা সমতা ফেরাতে সক্ষম হয়। বাঁ দিক থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ডের নেওয়া কর্নার কিকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন ফরাসি ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বার্সেলোনা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই পর্বে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আসে ৫৮তম মিনিটে, যখন চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরেন তরুণ উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল।
মাঠে নামার মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই তিনি দলের এগিয়ে যাওয়ায় বড় ভূমিকা রাখেন। ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে নিখুঁত ক্রস বাড়ান ইয়ামাল, আর সেই বলে হেডে গোল করেন পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানদোভস্কি। এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার জয় নিশ্চিত করে।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও গোলের দেখা মেলেনি। তবে ৮৪তম মিনিটে মাত্র ২৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই দলেরই দুটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়।
প্রথমে তাকেফুসা কুবোর শট ক্রসবারে বাধা পায়, এরপর প্রতি-আক্রমণে লেভানদোভস্কির শটও ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে আসে।
শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রেখে মৌসুমে তাদের অপরাজিত পথচলা ধরে রাখল বার্সেলোনা।
এই জয়ে সাত ম্যাচে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করল বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে নেমে গেল কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ।