ঢাকা শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

বিগত দশকে ব্যালন ডি’অরের কিছু অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৫:৫৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত

২০২৫ ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীত হয়েছেন নাপোলির স্কট ম্যাকটমিনে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে নাপোলিতে যোগ দেওয়ার পর এই স্কটিশ মিডফিল্ডার প্রথম মৌসুমেই সিরি-আ শিরোপা জিততে দলের মূল নায়কে পরিণত হন। 

৩৪ ম্যাচে ১২ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট করে তিনি নাপোলি সমর্থকদের চোখে ‘ম্যাকটারমিনেটর’ নামে পরিচিত হয়েছেন।

তবে ম্যাকটমিনে একা নন—বিগত এক দশকে ব্যালন ডি’অরের শর্টলিস্টে এমন আরও অনেক নাম এসেছে, যাদের দেখলে ভক্তরা অবাক হয়েছেন। 

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির আধিপত্যের যুগে এই তালিকায় ছিল একাধিক চমক।

গত এক দশকের কিছু চমকপ্রদ ব্যালন ডি’অর মনোনয়ন

১. ডেভিড লুইজ (২০১৪)

ব্রাজিলের হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও লুইজ ব্যালন ডি’অরের তালিকায় ছিলেন। চেলসি থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন সে বছর। শেষ পর্যন্ত ভোটে পিছিয়ে পড়লেও ফিফপ্রো বর্ষসেরা দলে জায়গা পান।

২. দিমিত্রি পায়েট (২০১৬)

ওয়েস্ট হ্যামের হয়ে ১৭ গোল ও ২৩ অ্যাসিস্ট করে ব্যালন ডি’অরের ভোটে যৌথভাবে ১৭তম হন এই ফরাসি মিডফিল্ডার।

৩. জেমি ভার্ডি (২০১৬)

লেস্টার সিটির ঐতিহাসিক প্রিমিয়ার লিগ জয়ের নায়ক। ২৪ গোল করে ব্যালন ডি’অরে জায়গা পান এবং ইব্রাহিমোভিচ, পগবা, লেওয়ানদোস্কির চেয়েও এগিয়ে শেষ করেন।

৪. জোয়াও ফেলিক্স (২০১৯)

বেনফিকার দুর্দান্ত মৌসুমের সুবাদে মনোনয়ন পান, তবে আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়ে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন। ভোটে কোনো পয়েন্ট পাননি।

৫. দুশান তাদিচ (২০১৯)

সাউথ্যাম্পটন ছাড়ার পর আয়াক্সের হয়ে প্রথম মৌসুমেই এরিদিভিসি জেতা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছানোর কৃতিত্বে ব্যালন ডি’অরে জায়গা পান।

৬. সিজার আজপিলিকুয়েতা (২০২১)

চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পরও ভোটে কোনো পয়েন্ট পাননি এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

৭. ডারউইন নুনিয়েজ (২০২২)

বেনফিকার হয়ে ৩৪ গোলের অসাধারণ মৌসুমের পর ব্যালন ডি’অরে মনোনয়ন পান। যদিও লিভারপুলে যোগ দেওয়ার সময় তার খেলার ধরন নিয়ে বিতর্ক ছিল।

৮. আন্দ্রে ওনানা (২০২৩)

ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তোলার কৃতিত্বে মনোনয়ন পান। ম্যানইউতে যোগ দেওয়ার পর ভুলভ্রান্তির কারণে সমালোচিত হলেও ভোটে দুই পয়েন্ট পান।

৯. ম্যাটস হ্যামেলস (২০২৪)

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে নেওয়ার পর ৩৫ বছর বয়সে আবার ব্যালন ডি’অরে নাম তোলেন।

১০. আদেমোলা লুকম্যান (২০২৪)

আতালান্তার হয়ে ২৪ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট, সঙ্গে ইউরোপা লিগ ফাইনালে হ্যাটট্রিক— এই পারফরম্যান্সে আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন পান।