ফুটবল বিশ্বে গোলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ একটি কৃতিত্ব হলো সৃষ্টিশীল পাস বা অ্যাসিস্ট। আজকের দিনে দুই অ্যাসিস্ট করে লিওনেল মেসি এই তালিকায় চলে এসেছেন দুই নম্বরে।
তবে ফুটবল ইতিহাসে তার চেয়েও বেশি অ্যাসিস্ট রয়েছে এক কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের নামে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের মালিক কারা।
১. ফেরেঙ্ক পুস্কাস – ৪০৪
হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড ফেরেঙ্ক পুস্কাস ৭১৯টি ম্যাচে ৭০৮ গোলের পাশাপাশি ৪০৪টি অ্যাসিস্ট রেকর্ড করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদে তিনটি ইউরোপীয়ান কাপ জয় এবং ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে নেতৃত্বদানকারী পুস্কাসকে ইংল্যান্ডের লেজেন্ড সার টম ফিনি ‘সর্বকালের সেরা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
২. লিওনেল মেসি – ৪০০*
আর্জেন্টিনার লিজেন্ড মেসি ২১ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্লে মেকার। তার দক্ষতা, দ্রুততা ও প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙার ক্ষমতা তাকে অসাধারণ করেছে। ২০২৫ সালের নভেম্বরে ইন্টার মিয়ামির হয়ে ন্যাশভিলের বিপক্ষে খেলে মেসি তার ৪০০তম অ্যাসিস্টে পৌঁছান। এখন তিনি মাত্র চারটি অ্যাসিস্টের দূরত্বে আছেন সর্বকালের রেকর্ড ভাঙার।
৩. পেলে – ৩৬৯
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে তার দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা ও গোল করার ক্ষমতায় ফুটবলকে বিশ্বের অঙ্গীকার করে দেন। তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ক্যারিয়ারে ৩৬৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
৪. ইয়োহান ক্রুইফ – ৩৫৮
ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ আধুনিক ফুটবলের ধারার প্রতিষ্ঠাতা। আয্যাক্সে তিনবার ব্যালন দি’অর জেতা এবং ‘ক্রুইফ টার্ন’-এর উদ্ভাবক হিসেবে তিনি অসামান্য সৃজনশীলতা দেখিয়েছেন।
৫. থমাস মুলার – ৩৫২*
বায়ার্ন মিউনিখের দীর্ঘদিনের তারকা ফুটবলার থমাস মুলার ২১ শতকের অন্যতম সেরা ক্রিয়েটর। সম্প্রতি ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসে ১০ ম্যাচে ৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
৬. লুইস সুয়ারেজ – ৩১৭*
লিভারপুল ও বার্সেলোনায় শীর্ষ সময় কাটানো উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেজ ২৭৮টি ক্লাব লেভেলের এবং ৩৯টি আন্তর্জাতিক অ্যাসিস্ট করেছেন।
৭. কেভিন ডে ব্রুইন – ৩১৬*
প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা প্লে মেকার কেভিন ডে ব্রুইন ১০০তম অ্যাসিস্ট মাত্র ২৩৭ ম্যাচে পূর্ণ করেছিলেন। পেপ গুয়ার্ডিওলা তাকে ‘জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।



