বাংলাদেশের কিংবদন্তি গ্র্যান্ডমাস্টার রানী হামিদ ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন।
তাকে ভারতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার খবরটি সঠিক না হলেও, তার একমাত্র সঙ্গী রেটেড দাবাড়ু আছিয়া সুলতানাকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একা হয়ে পড়েছেন ৮০ বছর বয়সী বর্ষীয়ান এই দাবাড়ু।
ভারতের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আছিয়া সুলতানা এর আগে মেডিকেল ভিসায় ভারতে গিয়ে চিকিৎসা না করিয়ে একটি দাবা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।
ভারতীয় আইনে এটি ভিসার নিয়ম লঙ্ঘনের শামিল, যে কারণে এবার তাকে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
আছিয়াকে ছাড়া বেশ বিপাকে পড়েছেন রানী হামিদ। বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তিনি কোনো সফরে গেলে অন্তত একজন সঙ্গী নিয়ে যান। আছিয়াকে ছাড়া বর্ষীয়ান এই দাবাড়ুর চলাফেরা এবং খেলার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে, ৩৬ বছর বয়সী আছিয়া সুলতানা মেডিকেল ভিসায় ভারতে গিয়ে দাবা টুর্নামেন্ট খেলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তার দাবি, ওই সময় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসক না থাকায় তার ডাক্তার দেখানো হয়নি।
এ বিষয়ে ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে রানী হামিদ বলেছেন, ‘আমি কখনো একা সফর করি না। এবার আছিয়া ছিল বলেই সাহস করে এসেছি। এখন আমি একা হয়ে গেছি, খুব খারাপ লাগছে।
আমার সঙ্গে যিনি ছিলেন, তাকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। সারা রাত বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়। সে তো কোনো অপরাধ করেনি।
শুধু দাবা খেলেছে! আমি ভালোই আছি। আয়োজকেরা খুব সম্মান দিয়েছে। তবে একা হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’
