শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি

ডলারের বিকল্প ব্যবহার করলেই বন্ধ মার্কিন দুয়ার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

ডলারের বিকল্প ব্যবহার করলেই বন্ধ মার্কিন দুয়ার

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসনের সময়ে ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলো (চীন, রাশিয়া, ভারত সমর্থিত উদীয়মান অর্থনীতির একটি জোট) ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রা তৈরির পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ছাড়তে হবে। তার কথা না মানলে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন,‍‍`ব্রিকস ভুক্তদেশগুলো ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর অপচেষ্টা করবে, আর আমরা নীরবে তা দেখে যাব, এমনটি হতে পারে না। আমরা এই দেশগুলো থেকে প্রতিশ্রুতি চাই যে তারা নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না বা ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রাকে সমর্থন দেবে না। অন্যথায়, তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার অর্থনীতিতে নিজের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সূবর্ণ সুযোগ চিরতরে হারাবে।‍‍`

ব্রিকসের যাত্রা: ব্রিকস ২০১১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে অর্থনৈতিক জোট হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তবে চলতি বছর ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশর আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোটে যোগ দিয়েছে, যা এক দশকের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের সম্প্রসারণ। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডোর ফেব্রুয়ারিতে জানান, আরও ৩৪টি দেশ উদীয়মান অর্থনীতির এই জোটে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

২০২৩ সালে ব্রাজিলের নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা লাতিন আমেরিকায় একটি সাধারণ মুদ্রা তৈরির প্রস্তাব দেন, যার লক্ষ্য ছিল মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো।

ব্রিকস দেশগুলো তাদের নিজস্ব মুদ্রা এবং মার্কিন ডলারের বাইরে ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রাশিয়া, চীন এবং ইরানের মতো দেশগুলোর জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে জোটের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে নতুন মুদ্রা তৈরির সম্ভাবনা খুবই কম।

ব্রিকস জোট সম্প্রসারণের ফলে চীনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ চীন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নতুন অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।

অন্যদিকে, এটি রাশিয়ার জন্যও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করেছে। এ বছর রাশিয়া এই জোটের রোটেটিং চেয়ারম্যানশিপ গ্রহণ করেছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, পশ্চিমা বিশ্ব বৈশ্বিকভাবে বিচ্ছিন্ন, এবং ‍‍`বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ‍‍` দেশ তাদের মার্কিন নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে।

 ট্রাম্পের হুমকি: ট্রাম্পের এই নতুন অর্থনৈতিক হুমকি তার সাম্প্রতিক ঘোষণার ধারাবাহিকতা, যেখানে তিনি মেক্সিকো, কানাডা এবং চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক ব্যাপকভাবে আরোপের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, এই শুল্ক বেআইনি অভিবাসন, অপরাধ এবং মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রতিশোধ হিসেবে আরোপ করা হবে এবং তার প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই তা কার্যকর হবে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!