বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৯:৪২ এএম

৫৯ হাজার কোটি ঘুষের অভিযোগ

যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৯:৪২ এএম

যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে এবং বিদেশে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। একের পর এক গুম, খুন, হত্যা, অর্থ পাচার, ঘুষসহ নানা অভিযোগ ও মামলায় জর্জরিত হয়েছে শেখ পরিবার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনার মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকেরও নাম এসেছে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুষকাণ্ডে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল।

রোববার দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। যদিও নিজে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি টিউলিপ। তবে মন্ত্রিসভা অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, টিউলিপ অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন।

যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য হচ্ছেন টিউলিপ। ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়াই তার কাজ।

অভিযোগ উঠেছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে টিউলিপ মধ্যস্থতা করেন। যদিও সে সময় ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না টিউলিপ।

এই অভিযোগ যে শুধু টিউলিপের বিরুদ্ধে উঠেছে তা নয়, এতে রয়েছে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার নামও। অভিযোগ অনুযায়ী, রূপপুরের এই প্রকল্প থেকে ৩.৯ বিলিয়ন (৩৯০ কোটি) পাউন্ড সরিয়ে নেয় শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীরা। যার বাংলাদেশি টাকার হিসেবে দাঁড়ায় প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা।

তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা আছে। এছাড়া দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপগুলোর দেখাশোনো করার ক্ষেত্রেও টিউলিপের দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে মন্ত্রীর দায়িত্বও অব্যাহত রাখবেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, অর্থ আত্মসাতে টিউলিপ সিদ্দিকের জড়িত থাকার যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোতে তার কোনো সম্পৃক্ততা থাকার দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন স্টারমার।

ডেইলি মেইল বলছে, টিউলিপকে আগামী মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে একটি চিঠি দেবে। এর মাধ্যমে বিদেশি অপরাধ তদন্তের অধীনে পড়বেন তিনি।

আরবি/এফআই

Link copied!