ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তে টানা সাত রাতের গোলাগুলি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৫, ১১:১০ এএম
সীমান্তের বেড়ার পাশে টহল দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার রাতের (৩০ এপ্রিল) আঁধারে শুরু হওয়া এ গোলাগুলিতে দুই পক্ষই একে অপরের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি বিনিময় করে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

এই নিয়ে টানা সাত রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি ও আখনূর সীমান্ত অঞ্চলে হঠাৎ করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। জবাবে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি চালানো হয়, তবে সীমিত পরিসরে।

সংঘর্ষের বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। দেশটির সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি।

এর আগে, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক এক ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা অঞ্চলে সংঘটিত বড় হামলার পর এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘটনা। পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো সেই হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ভারত অভিযোগ করেছে, এ হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাত রয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত গুরুত্বপূর্ণ পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে ভারতের বিমান চলাচলের জন্য নিজ দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

উভয় দেশই আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরস্পরের নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা ভিসা বাতিল করেছে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বহু পরিবার তাদের স্বজনদের নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে।

কাশ্মীর সীমান্তে এই টানা গোলাগুলির ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে রাতের বেলা আলো জ্বালানো বন্ধ রাখা হচ্ছে, এবং বহু পরিবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।