ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

১৯ দিনের ঘটনাপ্রবাহে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০২:২১ পিএম
প্রতীকী ছবি

সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের জন্ম দেয়। দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘটিত সংক্ষিপ্ত কিন্তু উদ্বেগজনক সামরিক উত্তেজনার সময়কালের ঘটনাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। 

এপ্রিল ২২ : ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত গোষ্ঠীকে দায়ী করে।

এপ্রিল ২৩ : ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে, সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং দুটি দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পানিচুক্তি স্থগিত করে। এ হামলায় মদদ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

এপ্রিল ২৪ : পাকিস্তান-ভারত দুই দেশ একে অপরের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে। পাকিস্তান ভারতীয় মালিকানাধীন ও পরিচালিত সব এয়ারলাইন্সের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।

এপ্রিল ২৫ : ভারত জানায়, সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে তাদের সেনাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

মে ৩ : পাকিস্তান ৪৫০ কি.মি. রেঞ্জের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারত তাদের সমুদ্রসীমায় পাকিস্তানি জাহাজের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতীয় জাহাজের পাকিস্তানি বন্দরে যাত্রাও নিষিদ্ধ করে।

মে ৭ : ভারত পাকিস্তানের ভেতরে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তান জানায়, এ হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয।এটাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে আখ্যা দেয় তারা। 

ইসলামাবাদ পাল্টা প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে দাবি করে, তারা ভারতের একাধিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

মে ৮ : ভারত পাকিস্তানের ওপর ড্রোন হামলা চালায় এবং দাবি করে, ইসলামাবাদ তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে।

মে ৯ : উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে জনপ্রিয় ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ভারত।

মে ১০ : পাকিস্তান জানায়, তারা ভারতের আক্রমণের জবাবে ভারতের ভেতরে বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

মে ১০ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’-তে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের কর্মকর্তারাও দ্রুত এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই স্বল্পমেয়াদি সংঘাতের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আবারও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আপাতত প্রশমিত হয়েছে।