বিশ্বসেরা খ্যাত মার্কিন যুদ্ধবিমান কিনেও ব্যবহার করতে পারছে না পাকিস্তান, ইরান, ভেনেজুয়েলা ও ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশ। ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে মিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনা যুদ্ধবিমানও যেন হ্যাঙ্গারে পড়ে আছে শোপিসের মতো।
মার্কিন যুদ্ধবিমান বিশ্বখ্যাত বিবেচিত হওয়ায় এসব যুদ্ধবিমান পেতে মুখিয়ে থাকে ক্রেতারা। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্রয়মূল্য শোধ করেও ব্যবহার করতে পারেনি অনেক রাষ্ট্র। লকহিড মার্টিন এফ-২২, ম্যাকডনেল ডগলাস এফ-১৫ ঈগল, জেনারেল ডাইনামিকস এফ-১৬, কনভেয়ার এফ-১০৬ ডেল্টা ডার্ট, লকহিড ওয়াইএফ-১২ ইত্যাদি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমান।
বিক্রি করলেও শর্তজুড়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে। ‘অ্যান্ড ইউজার এগ্রিমেন্ট’ ও ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস’ নামক চুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ থেকে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। উল্লেখিত শর্ত ভঙ্গ করলে নিষেধাজ্ঞা।
অর্থাৎ ইচ্ছামতো যখন তখন যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না এ যুদ্ধবিমান। যার কারণে হ্যাঙ্গারেই শোপিস হিসেবে পড়ে আছে অনেক যুদ্ধবিমান। যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ব্যবহার করতে পারেনি অনেক রাষ্ট্র। এ যেন বাড়ির মালিক হয়েও ভাড়াটিয়ার মতো থাকার সম্পর্ক।
এর শিকার পাকিস্তান, ইরান, ভেনেজুয়েলা ও ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক রাষ্ট্র।
পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার চূড়ান্তেও তার এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারেনি। এর পেছনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মূল কারণ হিসেবে ধারণা করছেন অনেকে। তবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
ইরানও মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-১৪ ক্রয় করেছিল ৭৯টি। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতেও এফ-১৪ যুদ্ধবিমান ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি। ভেনেজুয়েলাও ক্রয় করেছিল মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। একই তালিকায় ইন্দোনেশিয়ারও নাম আসে। মার্কিন যুদ্ধবিমান বোয়িং এফ-১৫ ইএক্স ঈগল-২ ক্রয় করেছে ইন্দোনেশিয়া।
তবে ব্যবহারের পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি কোনো রাষ্ট্র। ‘অ্যান্ড ইউজার এগ্রিমেন্ট’ ও ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস’র চুক্তির ফলে এখনো শর্ত আরোপ করা থেকে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি।