সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক পণ্যের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। তৈরি পোশাকসহ সুতা, প্লাস্টিক পণ্য, ফলের রস ও কনফেকশনারি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রপথে অঙ্গরাজ্যের সাথে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগস্থাপনে ও বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীরতা কমাতে পরিকল্পনা প্রস্তাবের পরই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ওপর কয়েকটি পণ্যের আমদানিসংক্রান্ত বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) নির্দেশিকার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে ওরা বাঁচতে পারবে না (বাংলাদেশ)।’
আজ রোববার (১৮ মে) দিলীপ ঘোষ ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমরা যখন পাকিস্তানকে টাইট দিতে পারি, তখন বাংলাদেশ তো চারদিক থেকে ভারত দিয়ে ঘেরা। ওদের সব আমাদের হাতে, আকাশ থেকে পানি, ব্যবসা থেকে বাণিজ্য। ওদের বোঝা উচিত, ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে ওরা বাঁচতে পারবে না।’
এর আগে, গতকাল শনিবার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও প্লাস্টিকসহ ছয় ধরনের পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি করে ভারত। দেশটি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনা শনিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
নির্দেশনামতে, নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যতীত কোনো ধরনের তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবে না ভারতের ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, ফল এবং ফলের জুস, তুলা বা তুলার বর্জ্য এবং প্লাস্টিকজাত সামগ্রী আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের কোনো স্থলবন্দর কাস্টম (এলসিএস) বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে আমদানি করতে পারবে না ভারতের ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী (পশ্চিমবঙ্গ) এলসিএস দিয়ে এসব পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রং, ডাই, প্লাস্টিসাইজার ও গ্র্যানিউল আমদানি করতে পারা যাবে মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম দিয়ে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথর গুঁড়া আমদানিতে কোনো বন্দরসংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পণ্য পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত নয় বলেও জানানো হয়েছে।