শিশুসহ ১২৫ জন ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিকে বোমা হামলা চালিয়েছে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) ভোরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার তাঁবুতে ঘুমাচ্ছিলেন তারা। ভোরের আলো ফোটার আগেই ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে জানায়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যাচাইকৃত ভিডিওতে অনেক মরদেহ দেখা গেছে। এর মধ্যে কিছু দেহ আগুনে পোড়া। নিহত ও আহতদের নিকটবর্তী একটি ফিল্ড হাসপাতাল এবং নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসা সূত্র আল-জাজিরা আরবিকে জানিয়েছে, রোববার সকালে কমপক্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪২ জন গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন জন সাংবাদিকও ছিলেন।
ইসরায়েল ‘অপারেশন গিডিয়নস রথ’ শুরুর পর গত চার দিনে মৃতের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্থল আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে তীব্র করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে শ শ মানুষ নিহত হয়েছেন।
রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা একটি ‘বর্বর অপরাধ’, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের সম্প্রসারিত অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরায়েলের স্থল অভিযান ও আরও গাজা দখলের পরিকল্পনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার ইসরায়েল ও হামাস নিশ্চিত করেছে, কাতারে আরও মধ্যস্থতার আলোচনা চলছে।
ইসরায়েল জোর দিয়ে বলেছে, কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে দেওয়া। গত ২ মার্চ থেকে উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব।
এদিকে, রোববার দোহায় হামাসের কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত না করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কট্টর ডানপন্থি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন-গভির।