ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে তুমুল গোলাগুলি, নিহত ২৭ 

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৭ জন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) ভোরে রাজ্যের নারায়ণপুর-বিজাপুর সীমান্তে আবুঝামাদ গভীর জঙ্গলে তুমুল সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।

পুলিশ জানিয়েছে, দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুর ও বিজাপুর জেলার সীমান্তে অভিযান চলছে। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ মাওবাদী ক্যাডারও রয়েছেন। নিহতের সংখ্যাটি ২৬ বা তারও বেশি হতে পারে।

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার বলেছেন, ‘এনকাউন্টার চলমান থাকায় (নির্মূল মাওবাদীদের) সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি, আমরা পরে জানাব।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, আবুঝামাদের একটি এলাকায় একজন সিনিয়র মাওবাদী নেতা লুকিয়ে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর এবং কোন্ডাগাঁও এই চারটি জেলার জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এই অভিযান পরিচালনা করে।

নিহতদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত মাওবাদীর  সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসভরাজুও রয়েছেন। তিনি ২০১৮ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং এনআইএ-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি ছিলেন। তাকে ধরিয়ে দিতে এক কোটিরও বেশি রুপি পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

ছত্তিশগড় রাজ্যে উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা দাবি করেছেন যে, ‘২৬ জনেরও বেশি নকশালবাদী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্ভবত কিছু শীর্ষ ক্যাডার ছিল। এই অভিযানে পুলিশের একজন সমর্থক নিহত হয়েছেন এবং একজন পুলিশ জওয়ান আহত হয়েছেন।’

ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে কারেগাট্টালু পাহাড়ে বৃহত্তম নকশাল-বিরোধী অভিযান পরিচালনার কয়েকদিন পর এই অভিযান চালানো হয়। ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট’ নামে পরিচিত এই অভিযান ২১ দিন পর স্থগিত করা হয়। কারেগাট্টালু পাহাড়ে হিদমা মাডভিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে দেখা গেছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর আজ বুধবার ভোরে অভিযান শুরু হয়।