ভারতে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করছে বেঙ্গালুরুতে। কর্ণাটক সরকার তাই সেখানকার স্কুলগুলোতে জারি করেছে নতুন নির্দেশনা। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বলা হয়েছে, যদি শিক্ষার্থীর জ্বর, সর্দি, কাশি থাকে তাহলে তাদেরকে এখন স্কুলে পাঠানোর দরকার নেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া করোনা বিষয়ক একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থীর সর্দি, কাশি এবং জ্বর থাকে তাহলে তাকে স্কুলে আসার দরকার নেই। তারা সঠিকভাবে চিকিৎসা করিয়ে তারপর যেন স্কুলে আসে। ফলে বাকি শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি নিশ্চিত থাকবে।
কর্ণাটকে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৩৪ জন। তাদের সকলকেই নজরে রাখা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের ওপর নজর থাকছে সরকারের। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেজন্য আগে থেকেই এই ধরণের একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ভারতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা দুই হাজার ৭১০। কেরালার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তারপরেই মহারাষ্ট্র ও নয়াদিল্লি।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত চার দিনে সংক্রমণের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। গত ২৬ মে সংখ্যাটা ছিল এক হাজার ১০। সেখানে ৩০ মে এসে ঠেকেছে দুই হাজার ৭১০-এ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ১৪৭। মহারাষ্ট্রে ৪২৪। নয়াদিল্লিতে ২৯৪ আর গুজরাটে ২২৩। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা ১৪৮। কর্ণাটকে সংখ্যাটা ১৪৮। পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে আক্রান্ত ১১৬।
এছাড়া রাজস্থানে আক্রান্ত ৫১। উত্তরপ্রদেশে ৪২। পুদুচেরিতে ২৫। হরিয়াণায় ২০। অন্ধ্রপ্রদেশে ১৬। মধ্যপ্রদেশে ১০। গোয়ায় ৭।
এছাড়া ওড়িশ্যা, পাঞ্জাব ও জম্মু–কাশ্মীরে চার জন করে করোনায় আক্রান্ত। তিনজন করে আক্রান্ত অরুণাচলপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও চণ্ডীগড়ে। মিজোরাম ও অসমে আক্রান্ত দু’জন করে। আন্দামান নিকোবর, সিকিম ও হিমাচলপ্রদেশ থেকে এখনও আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :