পাকিস্তান জেল থেকে ২১৬ কারাবন্দি পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচির এক জেলখানায়। ভূমিকম্পে যখন আতঙ্কিত গোটা শহর, তখনই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় কারাবন্দিরা।
সোমবার (২ জুন) করাচিতে ভূমিকম্প আঘাত হানলে নিরাপত্তার খাতিরে জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের অস্থায়ীভাবে ব্যারাকের বাইরে নিয়ে আসে। প্রায় ৬০০ বন্দির ভিড়ে হঠাৎ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দরজা ভেঙে পালিয়ে যায় ২১৬ জন। এই ঘটনায় আহত হন তিনজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদস্য, একজন জেল কর্মকর্তা এবং এক বন্দি নিহত হন।
জেলের পরিচালক জানান, পালিয়ে যাওয়া বন্দিরা মূলত সার্কেল ৪ ও ৫-এর কয়েদি ছিলেন। ভূমিকম্পের সময় তাদের বাইরে আনা হলে বিশৃঙ্খলার সুযোগে পালিয়ে যান তারা। পরে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে জেলের দেয়াল ধসে পড়ার কথা বলা হলেও বন্দিরা মূল ফটক দিয়েই পালিয়ে যায়।
সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার বলেছেন, পলাতক সব কয়েদিকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের ধরতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি ও আশপাশে অভিযান চলছে। তিনি স্পষ্ট করেন, কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিন্ধু পুলিশের আইজি গুলাম নবি মেমন জানিয়েছেন, মালির জেলে অনেক মাদক সংশ্লিষ্ট ও মানসিকভাবে অস্থির কয়েদি রয়েছেন। তাদের অধিকাংশকেই পুনরায় আটক করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তার দাবি, এই পালানোর ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত নয়, তবে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
জেল সূত্রের মতে, ঘটনার সময় মালির কারাগারে ৬ হাজার ২২ জন বন্দি ছিলেন। এর মধ্যে ৮০ জনের বেশি পালিয়ে যাওয়া বন্দিকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো ১৩৫ জনের বেশি কয়েদি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুরো ঘটনাকে ঘিরে নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :