ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের পশ্চিম গালিলিয়া অঞ্চলে এক তরুণী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হামলার সময় একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলের জরুরি সেবাদাতা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আদম’।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, নিহত তরুণীর বয়স বিশের কোঠায়। তিনি বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
আহতদের মধ্যেও সবাই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে একজন দুই মাস বয়সি শিশু থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশু ও আরও অন্তত একজন ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন- যাদের উদ্ধারে ১৪টি উদ্ধার ট্রাক পাঠানো হয়েছে।
হামলার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে রকেট সতর্কতা বাজে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
শনিবার সকালের এসব হামলায় আরও অন্তত ১৪ জন আহত হন, যাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়। সবমিলিয়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত হয়েছে। তবে যেগুলো নাগরিক এলাকায় আঘাত হানে, তা থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা আরও জটিল রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া ইসরায়েল এই হামলা চালাতে পারত না এবং তেহরানের পারমাণবিক আলোচনা এখন অর্থহীন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক মন্তব্যে বলেন, ‘একদিকে শান্তিপূর্ণ সংলাপের কথা বলা হচ্ছে, আর অন্যদিকে জায়োনিস্ট বাহিনীকে আমাদের ভূখণ্ডে হামলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে-এটা পরস্পরবিরোধী।’
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং সম্ভাব্য নতুন হামলার আশঙ্কায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন।
সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, দ্য জেরুজালেম পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইন্ডিয়া, তাসনিম নিউজ এজেন্সি।