ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সপ্তম দিন পেরিয়েছে। এই সংঘাত এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি কাঁপিয়ে দিয়েছে ।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল । এরপর পাল্টা জবাবে ইরানও চালায় ব্যাপক হামলা।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের দিকে ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ নিক্ষেপ করেছে ইরান। বুধবার (১৮ জুন) কী কী ঘটেছে নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
১. ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি করতেও পারি, নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করতে চাই।’ইরানের আলোচকরা হোয়াইট হাউজে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও তিনি জানান। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের কূটনৈতিক মিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছে, ‘কোনো ইরানি কর্মকর্তাকে পা চাটার জন্য হোয়াইট হাউজের দরজায় বসে থাকতে বলা হয়নি।’
২. ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র তেহরানে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সাথে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইরান।
৩. ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক্স-নেটে লিখেছেন যে ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। তার দাবি এটি ইরানের সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র।
৪. আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট ইমেজিং বা উপগ্রহের মাধ্যমে ছবি তোলা বিশেষজ্ঞ কোম্পানি ম্যাক্সারের সবশেষ তোলা কিছু ছবি বিবিসির হাতে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে তাবরিজ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির অন্তত নয়টি ভবন ও ঘাঁটিতে পৌঁছানোর দুটি টানেল ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হয়েছে।
৫. ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘ইরান, এর জনগণ এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা ব্যক্তিরা কখনোই এই জাতির সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না।’
৬. আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরানের দুটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র ইসরায়েলি হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে ইসরায়েলও তাদের রাতভর হামলায় ইরানের সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো। সেন্ট্রিফিউজ সিস্টেম ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
৭.যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বুধবার (১৮ জুন) টেলিফোনে এক আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক বিবৃতি দিয়ে জানান, দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট আলোচনা হয় মূলত ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে গত মাসের ‘যুদ্ধ’ তিনিই থামিয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :