বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:৪০ এএম

ডিএসসিসির প্রকৌশলী ১৫০০ কোটি টাকার মালিক, সারজিসের স্ট্যাটাস 

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:৪০ এএম

ছবির বামে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের ও  ডানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।ছবি- সংগৃহীত

ছবির বামে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের ও ডানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের  ১৫০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। 

বুধবার(১৮ জুন)  নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য  জানান তিনি।

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেন,  খাইরুল বাকেরের নামে বেনামে রয়েছে অত্যন্ত ৬০০ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি!  স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি খাইরুল বাকের আনুমানিক ১৫০০ শত কোটি টাকার মালিক। নিকট আত্মীয় সিন্ডিকেট করে ৫ ভাই, ২ ছেলে ও স্ত্রী, জেবুন নাহারের নামে ঢাকা এবং নরসিংদী-সহ রয়েছে অন্তত ১৩ টা বাড়ী ও ৬০০ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!

তিনি লিখেন, ৫ই আগস্টের পূর্বে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে একাধিক পোস্ট ও কমেন্ট করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত ও প্রতিহত করার চেষ্টার কোন কমতি রাখেনি এই খাইরুল বাকের।

সারজিস লিখেন, খাইরুল বাকের  ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তারা ৬ ভাই। তার বাবা মিন্নত আলী ছিলেন নৌকার মাঝি, তার বাবা খেয়া পারাপারসহ কুলির কাজ‌ও করেছেন। দিন এনে দিন খাওয়া এই খাইরুল বাকের ২০০১ সালে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হিসাবে যোগদান করার পর থেকে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পায়। এর পর থেকেই তার স্ত্রী ও পাঁচ ভাইদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হতে থাকে।

এনসিপির এই নেতা লিখেন, খাইরুল বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ৫ পার্সেন্ট কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন দিতেন।

সারজিস আলম লিখেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে খাইরুল বাকের ছিলেন, নরসিংদী বেলাবো- মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থ দাতা। স্বৈরাচার সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে ছিলো তার ঘনিষ্ঠতা। সাবেক এই মন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় খাইরুল বাকের অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করারও অভিযোগ উঠে। খাইরুল বাকের বেলাবো ও মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থ দাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত। 

তিনি লিখন, ছাত্রজীবনে  খাইরুল বাকের চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শহীদ তারেক হুদা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

 

সারজিস  লিখেন, এই আওয়ামী দোসর ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ৫ই আগস্টের পরেও রয়েছে স্বপদে বহাল। এখন আবার ভোল পাল্টে অন্য দলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে পদোন্নতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার ধান্দা করছে! এসব ডাকাতদের চেয়ারে বসিয়ে রেখে কিভাবে সংস্কার সম্ভব?

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!