শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম

এবার ফিলিস্তিনে খ্রিষ্টানদের গির্জায় গরু নিয়ে ঢুকল ইসরায়েলিরা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরজুড়ে জনগণ ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ওপর তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরজুড়ে জনগণ ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ওপর তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরজুড়ে জনগণ ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ওপর তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তারা রামাল্লার পূর্বাঞ্চলের তায়বেহ শহরের একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় উপাসনালয়ে গরুর পাল নিয়ে ঢুকে পড়ে এবং হেবরনে ফিলিস্তিনি রাখালদের তাড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তায়বেহ শহরের ঐতিহাসিক সেন্ট জর্জ নামক ধর্মীয় উপাসনালয়ে বা আল-খাদের নামক ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রায় ৮০টি গরু নিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করে স্থাপনকারীরা।

এটি এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ের পবিত্রতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল।

ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে এলাকাবাসীরা বলেন, এটি শুধু তায়বেহ নয়, পুরো ফিলিস্তিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। গরুর পাল নিয়ে এই প্রবেশকে তারা গভীরভাবে আক্রমণাত্মক ও উসকানিমূলক কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তায়বেহ পৌরসভা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আল-খাদের গির্জা এই অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা। শহরবাসী এবং ফিলিস্তিনজুড়ে খ্রিষ্টানদের কাছে এটি অত্যন্ত মূল্যবান। দুঃখজনকভাবে, এর পবিত্রতা কিংবা প্রাচীনত্ব কিছুই বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ থেকে এটিকে রক্ষা করতে পারেনি। তারা বলপ্রয়োগ, উসকানি ও বর্ণবাদের মাধ্যমে একটি নতুন বাস্তবতা চাপিয়ে দিতে চায়।’

পৌরসভা আরও জানায়, প্রায় এক মাস আগে তায়বেহের খ্রিষ্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বসতি স্থাপনকারীরা একটি নতুন অবৈধ বসতি গড়ে তোলে। এরপর থেকে গির্জা এবং আশপাশের এলাকায় বারবার হামলার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে আগুন লাগানো, কৃষিজমি জ্বালিয়ে দেওয়া ও স্থানীয় বাসিন্দাদের হয়রানি করার ঘটনা রয়েছে।

এদিকে, হেবরন এলাকায়ও বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসন চলতে থাকে। সেখানে তারা রাখালদের তাড়িয়ে দেয়, যা ফিলিস্তিনি কৃষিজীবীদের জীবিকায় সরাসরি আঘাত বলে মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

এই ধরনের ধারাবাহিক হামলা ও উস্কানি ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের নীতিকে কেন্দ্র করে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ দেখা যায়নি।

Shera Lather
Link copied!