যেসব দেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেনি, তাদের জন্য ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক নির্বাহী আদেশে ৬৯ দেশ থেকে তাঁর দেশে আমদানি করা পণ্যে নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এর মধ্যে অসম বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে কিছু দেশের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প।
কোন কোন দেশের ওপর বেশি শুল্ক বসানো হয়েছে এবং সেসব দেশের শুল্ক হার কত:
সিরিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। দেশটির নতুন শুল্কহার ৪১ শতাংশ। ১৪ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে সদ্য উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সিরিয়া। এ সময় দেশটির জন্য এ উচ্চ শুল্কহার বড় আঘাত।
পরের অবস্থানে রয়েছে লাওস ও মিয়ানমার। উভয় দেশের ওপর ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত এশিয়ার অর্থনীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে যেসব দেশ আগে থেকেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে আছে।
সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৯ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এটি একমাত্র উন্নত অর্থনীতির দেশ, যেটির ওপর ট্রাম্প প্রশাসন এত উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করলেন। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারও।
এদিকে কানাডার পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ায় দেশটির ওপর এ শুল্ক আজ শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়ে গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ ইরাক ও ইউরোপের সার্বিয়ার ওপরও ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হয়েছে। অন্যদিকে চারটি দেশের ওপর ৩০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। দেশগুলো হলো আলজেরিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, লিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর নতুন শুল্কনীতির বাস্তবায়ন ‘খুব ভালোভাবে, খুব মসৃণভাবে’ চলছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর শুল্কের কারণে মার্কিন ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে কি না। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, শুধু একটা জায়গায় দাম বাড়ছে। তা হলো শত শত বিলিয়ন ডলার এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগারে ঢুকছে।
আপনার মতামত লিখুন :