গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পদ ছাড়লেন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ফেল্ডক্যাম্প। শুক্রবার (২২ আগস্ট) এক ঘোষণায় কেন্দ্র-ডানপন্থি নিউ সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট দলের এই নেতা জানান, মন্ত্রিসভার অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে তিনি অর্থবহ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সম্মতি আদায় করতে পারেননি।
পদে থাকাকালে তিনি ইসরায়েলের দুই মন্ত্রী—বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভিরের নেদারল্যান্ডসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জন্য নির্ধারিত তিনটি জাহাজের যন্ত্রাংশ রপ্তানি অনুমোদন বাতিল করেন। ফেল্ডক্যাম্প সতর্ক করেছিলেন, গাজার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এ অস্ত্রসমূহ অযাচিত কাজে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফেল্ডক্যাম্পের সরে দাঁড়ানোর পর সংহতির অংশ হিসেবে তার দলের অন্যান্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরাও পদত্যাগ করেন। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে চলমান কূটনৈতিক আলোচনা—বিশেষত ইউক্রেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত আলোচনায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ফেল্ডক্যাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইসরায়েলের বাণিজ্যচুক্তি স্থগিত করার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, কিন্তু জার্মানির বিরোধিতায় তা আটকে যায়। এতে হতাশ হয়ে তিনি নেদারল্যান্ডসকে এককভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
গবেষণা প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, রটারডাম বন্দরে প্রায়ই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশবাহী জাহাজ আসে, যা পরবর্তীতে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় ব্যবহৃত হয়। এসব আঘাতে গাজা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে নেদারল্যান্ডসসহ ২১টি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিল—পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।