সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

গোপনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত: সিএনএন

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারত গোপনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসে নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষ অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারের তীরবর্তী সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জাতিগত নিধনের কারণে এরা দেশ ছাড়ে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও প্রায় ২০ হাজার ভারত গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে এখন ভারতের গোপন পদক্ষেপে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ মে নয়াদিল্লিতে নতুন পরিচয়পত্রের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার কথা বলে ৪০ জনকে ডেকে নিয়ে আটকা রাখা হয়। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ রাখা হয়।

পরদিন ৭ মে, গোপনে তাদের উড়োজাহাজে করে আন্দামান দ্বীপের পোর্ট ব্লেয়ারে পাঠানো হয়। ৯ মে সেখানে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের চোখ বেঁধে জাহাজে সমুদ্রে নিয়ে যায় এবং দুটি ছোট নৌকায় মিয়ানমারের উপকূলে ফেলে দেয়।

প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তারা সাঁতরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় নেন। স্থানীয়রা ও মিয়ানমারের জান্তা বিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের এক সদস্য সিএনএনকে জানিয়েছেন, বর্তমানে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। কিছু মাস পর স্থানীয়দের সাহায্যে রোহিঙ্গারা ফোন ও অডিও বার্তা পাঠিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে এখন আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।

সিএনএন আন্তর্জাতিক বিমান ও নৌ চলাচলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করেছে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ৪০ জনকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদক নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষ, ভারতের মিয়ানমারে দূতাবাস ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

Link copied!